জামাল হোসেন, রাজাপুর ॥ দক্ষিনের জেলা ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার প্রকৃতিতে এখন মৃদু শীতের আমেজ। ভোর হতে না হতে চারদিকে কুয়াশার চাদর।যেন শীতের আগমনী বার্তা।এই সময়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেন এখানকার লেপ-তোশকের কারিগররা।দোকান গুলোতে থাকে উপচে পরা ভীড়।চাহিদা বাড়তে থাকায় লেপ-তোশকের বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে।তবে এবারে স্থানীয় লেপ-তোশকের ব্যাবসায়ী ও কারিগরদের একটু কমই ব্যস্ত দেখা যায়।লেপ-তোশকের চাহিদা বেশী থাকায় দেশের ভিবিন্ন অঞ্চল থেকে লেপ-তোশকের মৌসুমী ভাসমান ব্যাবসায়ীরা ঢুকে পরেছেন এ অঞ্চলে।তারা উপজেলার বিভিন্নস্থানে ঘর ভাড়া নিয়ে প্রতিদিন সকাল হতে না হতেই গ্রাম-গঞ্জে বেড়িয়ে পড়ে রেডিমেট লেপ-তোশক নিয়ে।ভাসমান ব্যাবসায়ীরা গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছে বিক্রি করে এসব লেপ-তোশক। এদের কাছ থেকে বেশীর ভাগ লেপ-তোশক ত্রুয় করেন গ্রামের মহিলারা।উপজেলার অনেক গুলো দোকান ঘুরে দেখা যায় এখানকার স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা এক একটি দোকান ঘর পাওয়ার জন্য ঘর মালিককে জামানত বাবদ ২-৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।প্রতিমাসে ঘর ভাড়া বাবদ ৩-৫ হাজার টাকা দিতে হয় তাদের।মাসিক বেতনের চুক্তিতে লেপ-তোশকের কারিগর রাখতে হয় তাদের।দোকানের অবস্থান মত ২-৩ জন কারিগর রাখতে হয় তাদের।প্রতি বছরই শীতের অপেক্ষায় থাকে স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা কারণ শীতের সময়ে লেপ-তোশকের চাহিদা বৃদ্ধি পায়।ভাসমান ব্যাবসায়ীদের কারণে পথে বসতে চলেছে এখানকার স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই।
রাজাপুর উপজেলা সদরের একাধিক লেপ-তোশক ব্যাবসায়ীরা বলেন,দোকানের জামানত,ঘরভাড়া ও কারিগরদের বেতন দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।ধার দেনা করে কোনমতে আমরা টিকে ছিলাম এতদিন।মৌসুমী ভাসমান ব্যাবসায়ীদের জন্য আমাদের পথে বসতে হবে।তাদের জন্য আমাদের বেঁচা বিক্রি অনেক অংশেই কমে গেছে।আমরা স্থানীয় এবং স্থায়ী ব্যাবসায়ী হওয়ার কারনে ত্রেুতাদের নি¤œ মানের তুলা বা কাপর দিয়ে লেপ-তোশক বানিয়ে দিতে পারিনা।ভালো কাপর ও তুলার দাম বেশী হওয়ায় আমাদেরও লেপ-তোশক বানিয়ে তা বিক্রি করতে হয় বেশী টাকায়।ভাসমান ব্যাবসায়ীরা পোশাক কারখানার জুট দিয়ে তুলা বানিয়ে এবং নি¤œ মানের বাজে কাপর দিয়ে এই সব লেপ-তোশক বানিয়ে তা বিক্রি করতেছে।যা মানুষের শরীর ও স্বাস্থ্যর জন্য খুবই ক্ষতিকর।
বাইপাস মোড়ের লেপ-তোশক ব্যাবসায়ী তারভীর ক্লোথ এন্ড বেডিং এর প্রোপাইটার মোঃরবিউল ইসলাম বলেন,ভাসমান ব্যাবসায়ী গ্রামে গিয়ে আমাদের দোকানের নাম ভাঙ্গিয়ে নি¤œ মানের কাপর ও তুলার পরিবর্তে পোশাক কারখানার জুট দিয়ে তৈরি রেডিমেট লেপ-তোশক বিক্রি করে। কিছুদিনের মধ্যেই ঐ সকল লেপ-তোশকের অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে ত্রেুতাগন আমাদের কাছে চলে আসে। আমাদের এখন টিকে থাকাই দায়।এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে।
Leave a Reply